বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুয়েটে সংঘর্ষ: অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা

  • ইউএনবি   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৪:২৯

কুয়েটের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন বাদী হয়ে বুধবার রাতে খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কুয়েটের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন বাদী হয়ে বুধবার রাতে খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের জনসংযোগ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

গত মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।

হামলার শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম সি‌ন্ডি‌কে‌টের এক জরু‌রি সভায় সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত করা হয়।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে ৯৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এ ছাড়াও হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

ওই ঘটনার পর বেলা দেড়টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ঘটনার বিচারের জন্য চারটি দাবি জানানো হয়। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা এবং যেকোনো অন্যায়ের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দেন।

পরবর্তী সময়ে উপাচার্য সময়ক্ষেপণ না করে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য তিনি ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, সব পরিচালক, প্রভোস্টদের নিয়ে বেলা সাড়ে তিনটায় একটি সভা আহ্বান করেন।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত হওয়ার আগেই বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে উপাচার্য, সহউপাচার্যসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে যান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আটকানোর চেষ্টা করেন।

সংঘর্ষ চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষক, ভাইস চ্যান্সেলর, অনেক শিক্ষার্থী ও কর্মচারী আহত হয়ে কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হন। ওই সময় উপাচার্য়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

এ বিভাগের আরো খবর