ফের শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া তৃতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা।
তাদের এ অবরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এর আগেই পুলিশ জলকামান ছিটিয়ে আন্দোলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এর কিছুক্ষণ পর লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি জলকামান ছিটানো হলে সোয়া দুইটার দিকে তারা মোড় ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।
ছত্রভঙ্গ করার সময় কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করতে দেখা যায় পুলিশকে। বর্তমানে শাহবাগ মোড় স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা মোড় ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিলে সেখানে থেকেও ধাক্কা ও বাঁশি বাজিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তাদের সরানো যায়নি। সেখানে দাঁড়িয়েই স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলকারী নারীদের।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে সুপারিশপ্রাপ্তরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন।
ওই সময় তারা ‘সুপারিশপ্রাপ্ত করছে কে, এই সরকার এই সরকার’, ‘আমি কে তুমি কে, শিক্ষক শিক্ষক’, ‘প্রথম ধাপ চাকরি করে, আমরা কেন রাজপথে’ ধরনের স্লোগান দেন।
এ ছাড়া তারা ‘হয়তো মোদের যোগদান দিন, নয়তো মোদের জীবন নিন’, ‘হয় নিয়োগ, নয় মৃত্যু’সহ নানা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাদের যোগদান নিশ্চিত করতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না।
গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন।
এরপর কোটা অনুসরণ করে এ ফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিত ৩০ প্রার্থী একটি রিট আবেদন করেন।
পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এ ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে হাইকোর্ট। রায়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেদিন থেকে আন্দোলন করে আসছেন তৃতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা। ফলে এ নিয়ে টানা অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন করছেন সুপারিশপ্রাপ্তরা।
তাদের দাবি, হাইকোর্টের এ রায় বাতিল করে তাদের নিয়োগ দিতে হবে।