বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্যাতন: কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, চারজনের সনদ বাতিল

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১২:৪১

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সরকারবিরোধী চ্যাটিংয়ের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১০ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে চারজনের বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে। দুইজনকে তিন বছর এবং একজনকে পাঁচ বছরের জন্য সনদ প্রদান না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সোমবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

যারা বহিষ্কৃত হলেন

আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, রায়হান আহমেদ, সাদ আহমেদ, সাজেদুল কবির, আদনান রাফি, রিজুয়ান ইসলাম রিজভী, ফায়াদুজ্জামান ফাহিম, মেহেদী হাসান মিঠু, সাফাত মোর্শেদ ও ফখরুল ইসলাম। তাদের মধ্যে রায়হান, সাদ, সাজেদুল ও রাফির বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া মোস্তাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য এবং শুভেন্দু দাস ও ফারিয়ার জামিল নিহালকে তিন বছরের জন্য সনদ প্রদান না করার পাশাপাশি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যা ঘটেছিল

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ড. এম এ রশিদ হলের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোবাইল অ্যাপে সরকারবিরোধী চ্যাটিংয়ের অভিযোগে তুলে নিয়ে যান। পরে গেস্ট রুমে নিয়ে রাতভর তাকে মারধর করা হয়। ভোরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

নির্যাতনের কারণে জাহিদুর খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাহিদুর নির্যাতনের বিচার চেয়ে কুয়েট উপাচার্যের কাছে আবেদন করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান দাবি করেছেন, তারা কেউই জাহিদুরকে মারধর করেননি।

তার ভাষ্য, ‌‘জাহিদুর হিযবুত তাহরীরের সদস্য, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কুয়েট কর্তৃপক্ষই তাকে পুলিশে দিয়েছিল। এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর