কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে শনিবার পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে বাড়ি থেকে আটক করার পর পুলিশ নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা আহত অবস্থায় তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে গভীর রাতে কুমিল্লার হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার এ মৃত্যুর ঘটনা জরুরি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
একই সঙ্গে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আইজিপি যেকোনো ধরনের হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার নিন্দা জানায়।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এ সরকারের একটি মূল মিশন, যার মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু অধিকারকর্মী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সরকার বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের অধিকাংশই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ, অপরাধ ব্যবস্থাপনা এবং বিচারিক পদ্ধতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি সুযোগ নির্মূল করার প্রচেষ্টায় অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব প্রতিবেদন নিয়ে অর্থবহ সংলাপ করবে। আইজিপি এসব সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কুমিল্লায় বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হওয়া ব্যক্তি যুবদল নেতা বলে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কুমিল্লায় গভীর রাতে বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। অমানবিক নির্যাতনের কারণে মো. তৌহিদুল ইসলাম (৪০) নামের ওই যুবদল নেতা মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিহতের শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বজনেরা।’