জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম বিয়ে করেছেন।
নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও যুক্ত করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, যেখানে বিয়ের সাজে সজ্জিত সারজিস আলমের সঙ্গে তিনি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পাশাপাশি রয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সারজিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।’
এর আট মিনিট পর একই ধরনের আরেকটি ছবি পোস্ট করে হাসানাত আবদুল্লাহ লিখেন, ‘অভিনন্দন, বন্ধু, সারজিস! আজীবন একসঙ্গে ভালোবাসা ও সুন্দর মুহূর্তের মধ্যে থাকো, এই কামনা করি।’
বিয়ের খবরে সারজিস আলমকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছেন নেটিজেনরাও। অনেকে নববধূর পরিচয় জানতে চান। তবে সারজিসসহ অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও শুক্রবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে পারেনি ইউএনবি।
অবশেষে ইউএনবির বরগুনা প্রতিনিধি সারজিসের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারজিসের স্ত্রী একজন কোরানের হাফেজা। সবসময় পর্দা করে চলেন তিনি। তাই তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
সারজিসের শশুরের নাম ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। পেশাগত কারণে ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবোর শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন।
লুৎফর রহমানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের রাজেন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে বর্তমানে পরিবারসহ ওই রিসোর্টেই অবস্থান করছেন তারা।
ব্যারিস্টার লুৎফর রহমানের তিন সন্তানের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়।
সারজিস আলম ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম।
দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস বড়। ছোট ভাইয়ের নাম শাহাদাত হোসেন সাকিব।
ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন সারজিস।
তিনি ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদের প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়ী হন।
ছাত্রজীবনের নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন সারজিস। গত বছরের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি।