বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গলা কেটে হত্যা: দাফন-কাফনে সহযোগিতা করেও হলো না রক্ষা

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৪:১৯

পুলিশের ভাষ্য, হত্যায় জড়িতরা জাহিদুলের দাফন-কাফনে সহায়তা করেছিলেন।

নওগাঁয় জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জেলার বিভিন্ন জায়গায় সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, হত্যায় জড়িতরা জাহিদুলের দাফন-কাফনে সহায়তা করেছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার জাহিদুল ইসলামের (৪১) বাড়ি পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন একই গ্রামের মামুনুর রশিদ (৩৬), রুবেল হোসেন (২৫) ও মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)।

নওগাঁ পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরেন এসপি মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।

তিনি বলেন, ‌‘গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জাহিদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার পর মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্টের নিচে ফেলে রেখে যায় আসামিরা।

‘এ সময় মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিল। পরে তার স্ত্রী থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে গতকাল সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামিরা মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করেছিলেন। এ ছাড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একটি মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

‘ঘটনার পর আসামিরাই ভিকটিমের লাশ উদ্ধারসহ দাফন-কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছে, যাতে তাদেরকে কেউ সন্দেহ না করে।’এসপি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। পূর্বশত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর