সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল ও সাধারণ সম্পাদক পদে জুবায়ের বখত জুবের বিজয়ী হয়েছেন।
তারা দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক শুক্রবার ভোর ছয়টায় এ ফল ঘোষণা করেন। ওই সময় তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার এম. আবদুল করীম আকবরী ও জামিল আহমদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমিতির ২ নম্বর হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আইনজীবী সমিতির ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬৫ জন প্রার্থী।
সভাপতি পদে বিজয়ী সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল পান ৭৭০ ভোট। তিনি সিলেট মহানগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা এটিএম ফয়েজ ৬৫৮ ভোট পান।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন) সর্বোচ্চ ৫৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জোছনা ইসলাম ৩৫৫, আলী হায়দার ২৩৩ এবং সৈয়দ ফেরদৌস ২১৩ ভোট পান।
সহসভাপতি-২ পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগপন্থি ও জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা মামলার আসামি মোহাম্মদ মোখলিসুর রহমান। তিনি সর্বোচ্চ ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুস সোহেব আহমদ (৩৮২), আবদুল হান্নান (৩৭৮) ও আফরোজ আহমদ (৬৪) ভোট পান।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন জুবায়ের বখত জুবের। সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপন্থি গোলাম রাজ্জাক ৫৮, বিএনপিপন্থি জোহরা জেসমিন ২৪, বামপন্থি দেলোয়ার হোসেন দিলু ২৮৫, আওয়ামী লীগপন্থি মাসুদুর রহমান মুন্না ৪৮, আওয়ামী লীগপন্থি মমিনুর রহমান টিটু ২৭৯, জামায়াতপন্থি আজিম উদ্দিন ১৮৪ ও বিএনপিপন্থি মশরুর চৌধুরী শওকত ২৪২ ভোট পান।
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগপন্থি ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থি ইকবাল আহমদ ৪৭৮ ও বিএনপিপন্থি তাজ রিহান জামান ২৩৬ ভোট পান।
যুগ্ম সম্পাদকের ২ পদে বিএনপিপন্থি রব নেওয়াজ রানা ৪২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতপন্থি আমিনুর রব চৌধুরী ১৫১, আওয়ামী লীগপন্থি কানন আলম ২৮৩, বিএনপিপন্থি সেবা বেগম ৩৫, বিএনপিপন্থি তানভীর আক্তার খান ২২২, জনতা পার্টির তাহামিনুল ইসলাম খান ২০২ ভোট পান।
এ ছাড়াও সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ীরা হন। তারা হলেন অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন (৯৮৫ ভোট), এ.এস.এম. আব্দুল গফুর (৯২৩ ভোট), এ.কে.এম. ফখরুল ইসলাম (৯১৬ ভোট), মো. জামিলুল হক জামিল (৯১৪ ভোট), আবদুল মালিক (৮৯১ ভোট), কল্যাণ চৌধুরী (৮১৬ ভোট), আশিক উদ্দিন (৭৭৯ ভোট), জুবের আহমদ খান (৭৩৯ ভোট), আবু মো. আসাদ (৬৬৩ ভোট), মো. আলীম উদ্দিন (৬৬০ ভোট) এবং মো. ছয়ফুল হোসেন (৬২৬ ভোট)।