নোয়াখালীর হাতিয়ায় আটজনকে কুপিয়ে জখম করেছে ডাকাতদল।
এ ঘটনায় তিন ডাকাতকে আটক করে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
হাতিয়া উপজেলার বয়ারচরের টাংকি বাজারে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন আবদুর রব ব্যাপারী (৫৫), মোতাহার মাঝি (৫০), নুর মোহাম্মদ (৩০), মোস্তু (৫০), মোস্তফা (৬৫), ইদ্রিস (৩৫), জামসেদ (৩২) ও আশরাফ (২৫), যাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন মোতাহার মাঝি ও জামসেদ জানান, কয়েক মাস ধরে বয়ারচরের বাসিন্দা, টাংকি ঘাট ও বাজারের ব্যবসায়ীদের চাঁদার জন্য চাপ দিতে থাকেন ফরিদ বাহিনীর প্রধান ফরিদ ডাকাত। চাঁদা না দিলে তার বাহিনীর ডাকাতদল স্থানীয়দের ওপর চালায় নির্মম অত্যাচার। আজ সকালে ফরিদ বাহিনীর প্রধান ফরিদ ডাকাত, কাশেম ডাকাত, খায়ের ডাকাত ও জীবনের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন টাংকি ঘাটের ব্যবসায়ী আবদুর রব ব্যাপারীকে কুপিয়ে জখম করেন। ওই সময় তাকে রক্ষা করতে গেলে আরও আট থেকে ১০ জনকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘টাংকি ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদমান দুই গ্রুপের বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে আজকে ঘাট এলাকায় আবদুর রব ব্যাপারী গেলে ফরিদের গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালায়।
‘এ সময় চারজন আহত হয়েছে। এডিশনাল এসপির নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ফরিদ বাহিনীর প্রধান ফরিদ ও তার লোকজনকে গ্রেপ্তারের জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ডসহ যৌথভাবে কাজ করছি। টাংকি বাজার পুলিশ ক্যাম্পটি চালুর বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ চেয়েছি।’
‘যেহেতু এই ক্যাম্পে পুলিশের থাকার ব্যবস্থা নিরাপদ নয়, তাই আপাতত মোর্শেদ বাজার ও চেয়ারম্যান ঘাট ক্যাম্পে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছি।’