কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও নিজ জমিতে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা।
চাঁদা না দেওয়ায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ভাড়াটে লোক দিয়ে সেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলার রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সোমবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সার্জেন্ট আবু আনিস ফকির।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু আনিস ফকির জানান, বাড়ির পাশেই গুজাদিয়া মৌজায় ১ একর ১৬ শতাংশ জমি প্রায় ৩৮ বছর আগে কেনেন তিনি। তার নামে রেজিস্ট্রিকৃত দুটি সাফ কবলা দলিল এবং জমাখারিজ, পৃথক পর্চা ও হোল্ডিং রয়েছে। নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করে আসছেন তিনি। এ জমির ওপর ব্যাংক থেকে ঋণও নিয়েছেন।
তার ভাষ্য, সব বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও একটি কুচক্রী মহল জমিটি জবরদখলের পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, ‘এতদিন চাকরি করার কারণে সে জমিতে কিছু করার সুযোগ হয়নি। ইদানীং রেজিস্টার্ড আমিন দ্বারা মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করে জমিতে স্থায়ী কিছু করার চেষ্টা করছি। তখনই একটি স্বার্থান্বেষী মহল কাজে বাধা দেয়। তারা আকারে-ইঙ্গিতে তিন লক্ষ টাকা চাঁদাও দাবি করে এবং জমির গাছ কাটতে থাকে।
‘এ অবস্থায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।’
জমিটি জবরদখল করতে চক্রটি গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মানববন্ধন করে অভিযোগ করে আবু আনিস ফকির বলেন, তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মনগড়া কাহিনি সাজিয়ে সাতজনের নামে একটি মামলাও করেছে চক্রটি।
সংবাদ সম্মেলনে আবু আনিস ফকির বলেন, ‘আইন মতে দলিল যার, জমি তার। এটি একটি ব্যক্তি মালিকানা জমি।’ এখানে আন্দোলন, মানববন্ধন বা অবৈধ দাবি অপ্রাসঙ্গিক দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার সাংবিধানিক অধিকার থেকে তারা আমাকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে।’
বর্তমানে পরিবারের সবাই নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি ৮০ বছরের বয়স্ক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ওপেন হার্ট সার্জারি করা ও দুইবার ব্রেইন স্ট্রোক করা অসুস্থ মানুষ। এ সমস্ত অন্যায়-জুলুমে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।
‘এত বছরের স্বপ্নের জমিতে আমার পাঁচ ছেলে যেন বাড়ি করে বসবাস করতে পারে, সে জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনাকরছি।’