বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনাজুড়ে আধিপত্য চালানো আজিম গ্রেপ্তার

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৫:২০

সংবাদ সম্মেলনে কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ বলেন, সম্প্রতি খুলনা শহরে সন্ত্রাসীরা বেশ উৎপাত শুরু করেছিল। তাদের নিবারণের জন্য কেএমপি অভিযান শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকাতে অভিযান চালিয়ে খুলনার কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। নূর আজিম তার মধ্যে অন্যতম।

খুলনায় সবচেয়ে আলোচিত তিনটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অন্যতম আজিম গ্রুপ। এই দলের প্রধান নূর আজিমকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।

গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিদেশি একনলা বন্দুক, চারটি কার্তুজ, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত বুধবার ভোরে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তার অন্যতম সহযোগী রিয়াজুল ইসলাম রাজুকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ বলেন, সম্প্রতি খুলনা শহরে সন্ত্রাসীরা বেশ উৎপাত শুরু করেছিল। তাদের নিবারণের জন্য কেএমপি অভিযান শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকাতে অভিযান চালিয়ে খুলনার কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। নূর আজিম তার মধ্যে অন্যতম।

তিনি আরও জানান, নূর আজিম সন্ত্রাসী গ্রুপ সৃষ্টি করে শহরে মাদক বিক্রিসহ নানা প্রকার অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যানুসারে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশে কর্মকর্তা জানান, নূর আজিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। নতুন করে খুলনা সদর থানায় আরও একটি অস্ত্র মামলা করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া তার কাছে থাকা অস্ত্র ও তার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের তথ্য উৎঘাটনের জন্য পরবর্তী কার্যক্রম চলমান আছে।

২০২৩ সালের শেষের দিকে কেএমপি খুলনা শহরের বৃহৎ তিনটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। ওই তিনটি গ্রুপ হলো আশিক বাহিনী, নূজ আজিম বাহিনী ও গ্রেনেড বাবুর বাহিনী।

এই তিনটি গোষ্ঠী পুরো খুলনা শহরের মাদক কারবার, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র বিক্রি ও ভাড়াটে খুনের সঙ্গে সর্বদা জড়িয়ে থাকে।

গত ৫ আগস্টের পর পুলিশের কার্যক্রম অনেকটা নিষ্ক্রিয় হওয়ার ফলে তাদের আধিপত্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই শহরের কোথাও না কোথাও গোলগুলির ঘটনা শুরু হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের জন্য এ তিন গ্রুপের নেতৃস্থানীয় ১২ জনের একটি তালিকা করে কেএমপি।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ বলেন, ‘এ নেতৃস্থানীয় ১২ জনের মধ্যে আমরা এই পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর