বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছেন দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীরা।
শুরুতে এ কর্মসূচির নাম ছিল 'প্রোক্লেমেশন অব জুলাই’।
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার তৈরি করবে, এমন ঘোষণার পর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার গভীর রাতে কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ রাখা হয়। ফলে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র আজ ঘোষণা করবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সেই ঘোষণাপত্র কেমন হবে, সেটির প্রস্তাব তুলে ধরতে পারেন এ প্ল্যাটফর্মের নেতারা।
শহীদ মিনারে আসা অনেকেরই বক্তব্য, আজকেই ঘোষণা করতে হবে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র।
চট্টগ্রাম থেকে আসা মোহাম্মদ নাইম হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হবে। সে জন্যই আমরা এসেছি। নেতাদের আজকেই এই ঘোষণাপত্র পাঠ করতে হবে।’
খুলনা থেকে আসা আবদুল কাদের বলেন, ‘অভ্যুত্থান ঘটিয়েছি আমরা। ফলে আমরাই ঘোষণা করব অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র।
‘আন্দোলন হয়েছে মাঠে। তাই সিদ্ধান্ত মাঠের বিপ্লবীরাই দেবে।’
চট্টগ্রামের অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঘোষণাপত্র যখনই প্রকাশ করা হোক, সমস্যা নেই, তবে ঘোষণাপত্র এমন হতে হবে, যেন সেটির মাধ্যমে মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচিত হয়।’
এদিকে সারা দেশ থেকে শহীদ মিনারে আসা ছাত্র-জনতার বহনকারী কিছু বাস ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় প্রবেশ করে। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক সেসব বাস সরিয়ে নেয়া হয়।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, শহীদ মিনারে আগতদের বাস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাণিজ্যমেলার মাঠে। কেবল শহীদ ও আহতদের বাসগুলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হচ্ছে।