প্রতারণার মামলায় আলোচিত চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ (এম এ জলিল) ছয়জনকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে এই সমন জারি করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজিব মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অনন্ত জলিল ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, ফাইন্যান্স পরিচালক মো. শরীফ হোসাইন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাকিবুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মো. মিলন ও বাজেট অ্যান্ড অডিটের হেড অব কস্ট শহিদুল ইসলাম।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাভারের বিরুলিয়ার শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পিবিআই-কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। পরে তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে ব্যবসায়ী শাফিল নাওয়াজের কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর শাফিল কাজ শুরু করে টাকা চান। অভিযুক্তরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান।
পরবর্তীতে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। একই বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সব কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। গত বছরের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অভিযুক্তরা শাফিলের নামে একটি এলসি করেন। শাফিল টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা ওঠাতে ব্যর্থ হন।
শাফিল চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলারের কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি।