কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে এক জায়গায় একত্র করার সময় পাঁচ দালালকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে রোহিঙ্গাসহ ৬৬ জনকে।
এ সময় আটক দালালদের কাছ থেকে ৪ টি রাইফেলের গুলি, একটি রামদা ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার ভোরে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আটক দালালরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার শিলবনিয়া পাড়ার আব্দু শুক্কুরের ছেলে মো. রাশেদ, বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সুলতান আহাম্মদের ছেলে সালেহ আহাম্মদ ও তার ভাই নুরুল কবির, একই এলাকার রসিদ আহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলম এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে মো. শিপন।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা এবং পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৩৭টি শিশু রয়েছে।
ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘রোববার ভোরে টেকনাফে সমুদ্র উপকূলে বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় জনৈক আব্দুল আমিনের বসত ঘরে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে কিছু লোকজনকে জড়ো করার খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
‘ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহজনক বসত ঘরটি ঘিরে ফেললে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১৫ জন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হয়। আটকদের কাছ থেকে চারটি রাইফেলের গুলি, একটি রামদা ও একটি কিরিচ জব্দ করা হয়।’
তিনি জানান, পাঁচজনকে আটকের পর ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা ৬৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন।
আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।