এক দিনের ব্যবধানে সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
সর্বশেষ নিহত সবুজ মিয়া (২২) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ভিতরগুল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
সবুজ মিয়ার সহযোগীরা শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মরদেহ সীমান্তের ভারতীয় অংশ থেকে বাংলাদেশের ভেতরে নিয়ে আসেন। পরে বিজিবি ও পুলিশ গোয়াইনঘাটের দমদমিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে মারুফ মিয়া (১৬) নামের এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়। সে জৈন্তাপুর উপজেলার ঝিংগাবাড়ি গ্রামের মো. শাহাবুদ্দীনের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সবুজ মিয়াসহ কয়েকজন চোরাই পথে ভারতের ভেতরে খাসিয়াদের এলাকায় চলে যান। সেখানে খাসিয়াদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে ভারতীয় খাসিয়ারা বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে সবুজ মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। তার দেহ ভারতের ভেতরে থেকে যায়।
বিজিবির দমদমিয়া সীমান্ত চৌকির (বিওপি) সুবেদার মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি ভারতের সীমান্ত পিলার ১ হাজার ২৬১ থেকে আনুমানিক ২০০ গজ ভেতরে ঘটেছে। বিজিবির সদস্যরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিলারের কাছে যান। তখন সবুজ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিজিবি টহল দলকে জানান যে, বিকেল থেকে সবুজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাত পৌনে ১২টার দিকে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের ভেতরের জঙ্গলে সবুজের সহযোগীরা তার লাশ নিয়ে আসেন। পরে বিজিবি ও পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমদ জানান, খাসিয়ার গুলিতে নিহত সবুজ মিয়ার বাবা আবুল হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
বিজিবি সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিজিবি এ ব্যাপারে বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
‘একই সঙ্গে অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও বলা হয়েছে।’