বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২১:৪৪

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘এই দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো সংঘর্ষ না হয় সেজন্য পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পাহারায় থাকবে।’

খুলনা মহানগরীর নিরালার তাবলীগ (মারকাজ) মসজিদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে সেই বিরোধ আরও জোরালো হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ওই তাবলীগ মসজিদে পাহারায় ছিলেন পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাদপন্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন যে আগামী দশ দিন জুবায়েরপন্থীর কোনো মুসল্লি তাবলীগ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন না। অপরদিকে জুবায়েরপন্থীরা পাল্টা ঘোষণা দেন তারা জুমার নামাজ নিরালা তাবলীগ মসজিদেই আদায় করবেন। এই পরিস্থিতিতে মুসল্লিদের ভেতরে যাতে সংঘর্ষ না বাধে সেজন্য শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা দেয়া শুরু করে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘এই দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো সংঘর্ষ না হয় সেজন্য পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পাহারায় থাকবে।’

দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যৌথবাহিনী এলাকার সাধারণ মুসল্লি বাদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী কাউকে মসজিদে ঢুকতে দিচ্ছে না। এক পর্যায়ে মুসল্লিদের চাপ বাড়লে তাবলীগ মসজিদের মেইন গেটে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে স্থানীয় সাধারণ মুসল্লিরাও ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেননি।

নিরালা তাবলীগ মসজিদ সংলগ্ন নাজিরঘাট এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ‘মুসল্লিদের ভেতরে বিভাজনের কারণে আমরা আজ জুমার নামাজ পড়তে পারিনি। আমরা মুসলিম হিসাবে মুসলিমদের ভেতরে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী চাই না। সাধারণ মানুষের একটাই চাওয়া- মুসলমানদের ভেতরে সব ভেদাভেদ বাদ দিয়ে সবাই একসঙ্গে নামাজ পড়বে।’

এ বিভাগের আরো খবর