জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত কীটতত্ত্ববিদ মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বুধবার উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পদে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারদের ৫০ শতাংশ কোটা ইস্যুতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা অনেকেই জানেন চাঁদপুরের একটি ঘটনা। সেখানে বালুখেকো একটি গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সেখানকার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মৎস্য বিভাগের এক কর্মকর্তা আমাদের এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাদের একজনকে ওএসডি এবং বাকি দুইজনকে পানিশমেন্ট (শাস্তি) পোস্টিং দিয়েছিলেন।
‘এভাবেই রাজনৈতিক নেতারা প্রশাসনের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেই চলছে।’
তিনি বলেন, ‘কোটা প্রথার জন্য এত আন্দোলন হলো। এতগুলো জীবন চলে গেল। অথচ সেই কোটা প্রথা রয়ে গেল।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কোটা প্রথা থাকা উচিত নয়। প্রশাসনের ভেতরে দ্বন্দ্ব যাতে না থাকে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে।’
ওই সময় কীটতত্ত্ববিদ মনজুর বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশন হয়ে গেছে। কমিশনগুলো কালক্ষেপণের পাঁয়তারা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে কি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে পেরেছেন? একটি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ছাত্রকে এত বড় একটি স্থানে কেন নেয়া হলো? এটা নাকি সরকারের পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
‘যদি চাপিয়েই দেয়া হয়, তাহলে মুয়ীদ সাহেব সেটা অস্বীকার করতে পারতেন, কিন্তু তিনি সেটি করেননি।’
এর আগে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমাতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মকর্তাদের যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়।