কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালংয়ে মঙ্গলবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
আগুনে পুড়েছে বসতঘরসহ পাঁচ শতাধিক স্থাপনা।
ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
বেলা পৌনে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানান কক্সবাজার ফায়ার স্টেশনের উপপরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম।
এ ঘটনায় প্রাণ হারানো দুজনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য দিলেও তাদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
এর আগে দুপুর পৌনে একটার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকার লম্বাশিয়া ১ ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে আগুন ধরে।
আগুনের সূত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তদন্তকাজ চালাচ্ছেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপপরিচালক তানহারুল ইসলাম।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১ ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসতঘরে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এটি ক্যাম্পটির আশপাশের বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসনসহ স্থানীয়দের খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
‘পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও পাঁচটি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরাসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেল পৌনে তিনটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।’
এ কর্মকর্তা জানান, আগুনের ঘটনায় দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আগুন লাগার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পাঁচ শতাধিক বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তদন্তকাজ শেষে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়রা ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
‘কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা জানতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে।’