গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি ছিল সংস্কার। আমরা কেউ কেউ হয়তো এখন সংস্কারের কথা ভুলে যাচ্ছি। আবার কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে যে, সংস্কার আরও পরে হলেও হবে। কিন্তু যাতে স্বৈরাচারী সরকার আর ফিরে আসতে না পারে, ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি না ঘটতে পারে, সেজন্য সংস্কার হতে হবে।
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার সোমবার এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন।
‘সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রতিবেদন পেশ: তারপর কী’ শীর্ষক এই বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আবার যেন স্বৈরাচার ফিরে না আসে। এই স্বৈরাচার, কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা, ফ্যাসিবাদ যেটাই বলি- এগুলোর পুনরাবৃত্তি রোধে সংস্কার দরকার। হ্যাঁ, পরে কিছু কিছু সংস্কার করতে হবে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের অন্যতম দাবি ছিলো গভীর সংস্কার। যাতে পুরনো কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী সরকারের আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তাই সংস্কারের পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে হবে। গণমাধ্যম এখানে খুব ভালো ভূমিকা পালন করছে।’
বৈষম্যের অবসান এই অভ্যুত্থানের অন্যতম আরেক দাবি ছিল জানিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমাদের বৈষম্য দিন দিন আকাশচুম্বী হচ্ছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য তো দিন দিন বেসামাল পর্যায়ে যাচ্ছে। এই বৈষম্যের অবসান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অভ্যুত্থানের পেছনে আরও একটি কারণ ছিলো- যারা অপকর্ম করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধ করেছে তাদের ন্যায়বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
নির্বাচনি সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খসড়া কিছু মতামত জমা দেয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, নো ইভিএম। এবং ইভিএম যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত।’
নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করার বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।