বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীপুরে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩

  • প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর)   
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৭:৪১

গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় রোববার দুপুরে আগুন লাগার পর রাতে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ভষ্মীভূত কারখানাটিতে সোমবার সকালে আরও একজনের মরদেহ পাওয়া যায়।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে রোববার অগ্নিকাণ্ডের পর দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ভষ্মীভূত কারখানাটিতে সোমবার সকালে আরও একজনের মরদেহ পাওয়া যায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকালে কারখানা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

পুলিশ জানায়, নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি লালমনিরহাটের বাবলু মিয়ার ছেলে মজলুম মিয়া।

এর আগে রোববার রাতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, তখন পর্যন্ত দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গেছে। তাই পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, কারখানায় প্রথম দিকে যে বিস্ফোরণ হয় তখনই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামের ওই কারখানায় আগুন লাগে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করেন। পরপর বিস্ফোরণে আশপাশ এলাকা কেঁপে কেঁপে ওঠে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুন লাগার খবর দেয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সবমিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন য়িন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রামগুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর