কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এ ঘটনায় কাউকে আইন হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে সোমবার পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে মানহানির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ইতোমধ্যেই পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৯টি মামলা আছে। আমরা সবাইকে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। স্থানীয় এমপি মুজিবুল হকের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে আগে একাধিক মামলা হয়েছিল। রোববার সকালে তাকে একা পেয়ে স্থানীয় ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি হেনস্তা করে গলায় জুতার মালা দেয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জামায়াত সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে অহিদ, রাসেল, পলাশসহ ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা কানুর গলায় জুতার মালা দিয়ে এলাকা, এমনকি কুমিল্লায় থাকতে পারবেন না বলে হুমকি দিচ্ছেন। ওই সময় তিনি জুতার মালা সরিয়ে এলাকায় আর আসবেন না বলেও জানান।
ভিডিওতে কয়েকজন বলতে থাকেন, ‘এক গ্রাম লোকের সামনে মাফ চাইতে পারবেন কি না?’ অন্যরা বলতে থাকেন, ‘তিনি কুমিল্লা আউট, এলাকা আউট। ছেড়ে দাও।’