মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাংলাদেশ পুলিশের এক সদস্যকে গুলি করার পর আহত অবস্থায় পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ওই পুলিশ সদস্যের নাম রুহুল আমিন রুবেল। তিনি গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের আধার মানিক গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। ছুটি কাটাতে তিনি গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আহত পুলিশ সদস্য রুহুল আমিনের বাবা আব্দুল হক জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী চুন্নুর পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার ছেলে বাড়ির পাশে মাচায় বসে ছিলেন। এ সময় চুন্নু, তার ছোট ভাই মানিক, বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমামপুর গ্রামের তাইফুরসহ আরও কয়েকজন অতর্কিত তার ছেলের ওপর হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা প্রথমে রুহুল আমিন রুবেলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এর মধ্যে দুটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। এ অবস্থায় তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আব্দুল হক জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছেলেকে পুকুরের পানি থেকে তুলে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আহত রুহুল আমিন রুবেল একজন পুলিশ কনস্টেবল। তিনি কুমিল্লার চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন। মানসিক সমস্যার কারণে ছুটি নিয়ে কয়েক মাস ধরে বাড়িতেই অবস্থান করছেন তিনি। খেলনা পিস্তল দেখিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকায় সমালোচিত ছিলেন তিনি।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাদ করিম বলেন, ‘শনিবার রাত ১২টার দিকে এখানে একজন রোগীকে নিয়ে আসা হয়। তার গায়ে গুলি জাতীয় কিছুর দুটি আঘাত ছিলো। একটি বাম হাতের কনুইতে, আরেকটি ডান কাঁধে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনার একটি খবর পেয়েছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে এরকম কোনো খবর আমার কাছে নেই। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’