১৯৪৭-পূর্ববর্তী সময়ে অখণ্ড বাংলার মানচিত্র প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই প্রতিবাদ জানান।
মাহফুজ আলমের যে পোস্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটি দেয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি ওয়াল থেকে ডিলিট করেছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি; তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। তা ছাড়া আপনি যে পোস্টের কথা বলছেন, তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জেনেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে তাদের জনসমক্ষে মন্তব্যের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’
জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে ভারত যখন বার বার আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছে, তখন জনসমক্ষে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা দেখানো দরকার।’
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন।
১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের ধারাবাহিকতায় যে বাংলাদেশ হয়েছে, সেই ভূখণ্ডকে ‘খণ্ডিত’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। কয়েক ঘণ্টা পর পোস্টটি ডিলিট করে দেয়া হয়। উপদেষ্টা মাহফুজ বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
আরেক প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ টেনে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্ট। আমরা বলেছি- গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে আমরা সমর্থন করি।
‘আমরা পারস্পরিক আস্থা, সম্মান এবং একে অপরের উদ্বেগ ও স্বার্থের বিষয়ে পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা আরও জোর দিয়েছি, বাংলাদেশের জনগণই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রধান অংশীজন।’