বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলকাতায় উদ্ধার হওয়া দেহাংশ ও মেয়ের ডিএনএ-তে মিল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২০:২৯

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড) পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করা মরদেহ ও আনারের মেয়ের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেই নমুনা দুটির ডিএনএ-তে মিল পাওয়া গেছে।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উদ্ধার করা মরদেহের খণ্ডাংশের সঙ্গে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের ডিএনএ মিলেছে।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড) পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করা মরদেহ ও আনারের মেয়ের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেই নমুনা দুটির ডিএনএ-তে মিল পাওয়া গেছে।

আনোয়ারুল আজীম আনার গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরদিন ১৩ মে চিকিৎসক দেখানোর কথা জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও তাদেরকে জানিয়ে যান তিনি। বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন আনার।

চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আনার তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপালকে ফোন না দেয়ার জন্য বলেছিলেন আনার।

১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার (আনার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওইদিন ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২২ মে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে। পরে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয়া হয়েছে।

এই খবরের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। তারা অভিযান চালিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রায় চার কেজি দেহাংশ উদ্ধার করে।

ঘাতকরা সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো টয়লেটে ফ্ল্যাশ করেছিল। এছাড়া শরীরের হাড় কলকাতার ভাঙ্গরের বাগজোলা খালের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় তারা।

কলকাতা পুলিশ বলেছে, ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দেয়ার জন্য আনারের স্ত্রী ইয়াসমিন ফেরদৌস ও ভাই এনামুল হককে ডাকলেও কেবল তার মেয়েই কলকাতায় গিয়েছিলেন।

পরে গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলাটি করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসা থেকে এমপি আনার যাত্রা শুরু করায় ডিবি পুলিশের পরামর্শে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। সেই মামলায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে হত্যার নির্দেশদাতা ও মামলার প্রধান আসামি আক্তারুজ্জামান পলাতক রয়েছেন। কলকাতা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে।

এদিকে মামলায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী শাজী। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। অপরদিকে এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর