তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিল এবং গণভোট পুনর্বহাল করে দেয়া হাইকোর্টের রায়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলে ইন্টারভেনার (আদালতকে সহায়তা করতে) হিসেবে বিএনপি, গণফোরাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তিসহ বেশ কয়েকজন যুক্ত হন। শুনানিতে রিট আবেদনকারী, বিএনপি, রাষ্ট্রপক্ষ, জামায়াত, গণফোরাম, ব্যক্তি ও সংস্থার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা বক্তব্য তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বদিউল আলম মজুমদার।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের এই প্রধান বলেন, হাইকোর্টের এমন রায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার একটা গুরুত্বপূর্ণ দ্বার উন্মোচিত হলো।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এই রায়ে আমি খুব উৎফুল্ল, আনন্দিত এবং অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আমি মনে করি যে এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। পুরো দেশবাসীর জন্য আমি আনন্দিত। এই রায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার একটা গুরুত্বপূর্ণ দ্বার উন্মোচিত হলো। তবে এটা নির্ভর করবে ভবিষ্যতে কীভাবে আচরণ করা হয়। গণতন্ত্র ফিরে আসা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ মানে একটা পরিবর্তন।’
তিনি বলেন, ‘আমিসহ বহু ব্যক্তি এ বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। আদালত আমাকে এবং এ ব্যাপারে যারা সোচ্চার ছিলেন তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। ধন্যবাদ দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।’
সুজন সম্পাদক জানান, চরম প্রতিকূল অবস্থাতেও নাগরিকের পক্ষে তারা লড়েছেন। তারা সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পথে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য রিট করেছেন।