বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ হচ্ছে, নেতৃত্বে ড. ইউনূস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২১:৩০

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তা বিবেচনা করে আমি এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করব। আমার সঙ্গে এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ। কমিশন প্রয়োজন মনে করলে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।”

‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি নিজেই এ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আর তার সঙ্গে এই কমিশনে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “যেকোনো সংস্কার কাজে হাত দিতে গেলে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথম পর্যায়ে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তারা শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করবে আশা করি। আমরা এই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছি।

“এই কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মত বিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তা বিবেচনা করে আমি এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করব। আমার সঙ্গে এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ। কমিশন প্রয়োজন মনে করলে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘ছয় কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগামী মাসেই জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি। এই নতুন কমিশনের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব সিদ্ধান্ত জরুরি, সেসব বিষয়ে তাড়াতাড়ি ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করে কোন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ চূড়ান্ত করা।’

ড. ইউনূস বলেন, প্রথম পর্যায়ে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। তারা নির্বাচন আয়োজন এবং সংস্কার ছাড়াও আমাদের ওপর অনেকগুলো দায়িত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও মানুষের জীবনমান উন্নয়ন। এদিকে ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছ থেকে আমরা বিপর্যস্ত এক অর্থনীতি পেয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর