বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৫:৪৮

ধোয়ামোছা থেকে শুরু করে সৌন্দর্যবর্ধনের সব কাজ এরই মধ্যেই সম্পন্ন করেছে গণপূর্ত বিভাগ। 

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কোটি বাঙালি পেয়েছিল বিজয়ের আনন্দ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের পর বিজয় ছিনিয়ে আনে বীর সেনারা।

প্রতি বছর মহান বিজয় দিবসে সেই বীর সন্তানদের আত্মত্যাগ ও বিজয়গাঁথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে পুরো জাতি। আর ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুত ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

ধোয়ামোছা থেকে শুরু করে সৌন্দর্যবর্ধনের সব কাজ এরই মধ্যেই সম্পন্ন করেছে গণপূর্ত বিভাগ।

স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, শহীদবেদি থেকে সৌধের ফটক পর্যন্ত পুরো এলাকা ধুয়েমুছে চকচকে করে তোলা হয়েছে। পায়ে হাঁটার লাল ইটের পথগুলোতে সাদা রঙের আঁচরে শুভ্র করে তুলেছেন চিত্রশিল্পীরা। বাগানগুলোতে লাগানো হয়েছে গাদাসহ বাহারি ফুলের চারা।

শোভা বর্ধনকারী গাছ ও ঘাসগুলো ছেঁটে পরিপাটি করে তোলা হয়েছে। পরিষ্কার লেকগুলোর স্বচ্ছ পানিতে শোভা পাচ্ছে রক্তিম লাল শাপলা।

সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে লাল-সাদা ফুল গাছের টবগুলো শোভা বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার আগমন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারে পুরো সৌধ এলাকায় সিসিটিভি স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের এক কর্মচারী বলেন, ‘প্রতি বছর বিজয় ও স্বাধীনতা দিবস এলেই আমরা যারা এখানে কাজ করি, তাদের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। অর্ধশতাধিক শ্রমিক মিলে পুরো সৌধ এলাকা ধুয়েমুছে পরিষ্কার করি। এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রায় এক মাস ধরে আমরা স্মৃতিসৌধে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি।

‘মালিরা বাগানগুলোতে নতুন ফুলগাছের চারা লাগিয়ে সুন্দর করে তুলছেন। একদল শ্রমিক মেশিনের মাধ্যমে পুরো সৌধ চত্বর ধোয়ার কাজ করছেন। লেকগুলোর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পানি স্বচ্ছ করা হচ্ছে। কেউ বা আবার রং-তুলির কাজ করে যাচ্ছেন এখনও।’

স্মৃতিসৌধের প্রাচীরসহ ভেতরে বাহারি আলোকবাতি বসিয়ে সজ্জার কাজ প্রায় শেষ। ইলেকট্রিশিয়ানরা বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কারের পাশাপাশি আলোকবাতি লাগাচ্ছেন। সব মিলিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবধনের জন্য গত ৮ ডিসেম্বর থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে প্রায় এক মাস ধরেই সৌধের কর্মচারীরা দিন-রাত সৌধ এলাকাকে প্রস্তুত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে সৌধ প্রাঙ্গণ।’

এদিকে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শনিবার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে আসেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন।

ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে ১০ দিন পূর্বে থেকেই নিরাপত্তায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলেও নিরাপত্তা বলয় জোরদার করা হয়েছে।

‘একই সাথে ১৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকেই ডিএমপিসহ অত্র এলাকায় ট্রাফিক কার্যক্রম চালু থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর