সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার ঠেকাতে মেটাকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মেটা’র পরিচালক (মানবাধিকার নীতি) মিরান্ডা সিসন্স প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হারে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চলছে এবং আমরা এর ভুক্তভোগী। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে ক্ষুণ্ন করতে কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
মেটা পরিচালক সিসন্স প্রধান উপদেষ্টাকে মেটা’র মানবাধিকার নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য তারা সতর্ক থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টা মেটাকে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযুক্তিকে আরও সহজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের কারণে আপনাদের সম্ভাবনা প্রচুর। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ফেসবুক ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।’
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-২ সজীব এম খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ ও নেপালে মেটার পাবলিক পলিসি প্রধান রুজান সারোয়ার, মেটার অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সেল নয়নতারা নারায়ণ, মেটার এশিয়া-প্যাসিফিকের মিসইনফর্মেশন প্রধান অ্যালিস বুদিশাত্রিজো এ সময় উপস্থিত ছিলেন।