কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-কচুয়া সড়কে উপজেলার শায়েস্তানগরের কাছে বাসচাপায় ট্রাক্টরে থাকা দুই শ্রমিক নিহত হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একই উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দুজন প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে একটি শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মো. হেলাল ও ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বিকেল ৩টার দিকে এসব তথ্য জানান।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে শায়েস্তানগরের কাছে ইট বোঝাই একটি ট্রাক্টরকে ঢাকাগামী আল-আরাফা পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে ট্রাক্টরটি উল্টে ইটভাটা শ্রমিক উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বোরহান ও জামালপুরের সদর উপজেলার সৈয়দ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী প্রাণ হারান।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক মো. হেলাল বলেন, ‘মরদেহগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করেছে পুলিশ।’
অপর ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দৌলতপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঢাকাগামী অনির্বাণ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ডলি আক্তার নামের এক যাত্রী মারা যান। আহত অন্য যাত্রী ও চালককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে দুপুরের দিকে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- ১১ বছরের জিয়ানা আক্তার ও বৃদ্ধা জাহানারা বেগম। এই দুর্ঘটনায় নিহতরা সবাই পাশের বাসরা গ্রামের বাসিন্দা।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। নিহত ডলির মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। বাকি দুজন মারা গেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
‘এ ঘটনায় স্বজনরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে শুনেছি। তবে এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো পুলিশ হেফাজতে আছে।’