জাতীয় ঐক্যের ডাকের সঙ্গে বিএনপি একমত। তবে সেসঙ্গে দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ চায়। নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ হয়ে গেলে আর কেউ ষড়যন্ত্র করার সাহস পাবে না বলে মনে করে দলটি।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এর আগে তার নেতৃত্বে বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
‘জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করা হয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রকেও এদেশের ছাত্র-জনতা মিলে আমরা সবাই মোকাবিলা করব।’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে ওয়াদাবদ্ধ। তাই আমরা বলেছি অতি দ্রুত সংস্কার সাধন করে নির্বাচনের জন্য একটা রোডম্যাপ দিতে। জনগণ রোডম্যাপ পেয়ে নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে যেসব ষড়যন্ত্র এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেসব ষড়যন্ত্র আর কেউ করার সাহস পাবে না।’
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ এই ডিসেম্বরে লাখো মানুষের শাহাদাতের বিনিময়ে গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য স্বাধীনতা পেয়েছে। আজকের এই বিজয়ের মাসে আমাদের সবার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব এই দেশে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পতিত সরকার বিদেশ থেকে যে ষড়যন্ত্র করছে সেই ফ্যাসিস্ট, পতিত সরকারের বিরুদ্ধে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছেন।’
বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছি যে জনগণ যেমনিভাবে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছে, তাদের এবং তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের ষড়যন্ত্রকে সেভাবে এদেশের ছাত্র-জনতা সবাই মিলে মোকাবিলা করব।’