বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৭:২১

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অংশীজনদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা কোনো দেশের স্বার্থে আসবে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক শ্রেণীর ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী উস্কানিমূলক অপপ্রচারের ফলে সৃষ্ট আঞ্চলিক উত্তেজনায় দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল (এক্স ও ফেসবুক)-এ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর বাংলাদেশকে ঘিরে ভারতীয় গণমাধ্যমে উস্কানিমূলক ও রাজনৈতিক বক্তব্যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা এই বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে তারেক রহমান এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি করেন, ‘ভারতীয় ভাষ্যকাররা অপতথ্যের ধূম্রজাল সৃষ্টি করে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাবকে উসকে দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

‘আগরতলায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলা বিভ্রান্তির ফলে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার প্রমাণ। এ ধরনের ঘটনা প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও গভীর করার ঝুঁকি তৈরি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে ঠিক কী কারণে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলেন, তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে কী ঘটছে এবং কেন বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা অপরিহার্য- তা বস্তুনিষ্ঠভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অংশীজনদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা কোনো দেশের স্বার্থে আসবে না।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং নেতৃবৃন্দ থেকে মুক্ত হয়ে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

তারেক রহমান শেখ হাসিনার প্রস্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি এবং ভারতে তার ফ্লাইটের পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি বোঝার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও ধর্মীয় সম্প্রীতি ও আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘বাংলাদেশ মূলত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের দেশ ছিল এবং থাকবে। এদেশে জাতি, বর্ণ ও ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত রয়েছে।’

তারেক রহমান উস্কানির ফাঁদে বাংলাদেশিদের পা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার সহকর্মী বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য ও কোনো ধরনের উস্কানির ফাঁদে পা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

জাতি যখন হাসিনা-পরবর্তী রাজনৈতিক দৃশ্যপট ও ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক সমস্যা মোকাবিলা করছে, ঠিক সেই সময়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেয়া হলো।

তারেক রহমান বিরোধীদের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার এই অপচেষ্টাকে মোকাবিলা করে সবার প্রতি শান্তি বজায় রাখা এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে বলেন।

এ বিভাগের আরো খবর