মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। সীমান্তের ওপার থেকে ভেসে আসছে মুহুর্মুহু গোলার বিকট শব্দ। বৃহম্পতিবার রাত ৯টায় সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের আকাশে যুদ্ধ বিমান উড়ছে। বিমান থেকে গোলার শব্দে এপারে টেকনাফের জাদিমুড়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত কেঁপে কেঁপে উঠছে। এতে ভয়ে সীমান্তের কাছাকাছি মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছে।
টেকনাফ পৌরসভার সীমান্ত সংলগ্ন জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা কেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘রাতে হঠাৎ সীমান্তে পর পর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে ঘর থেকে লোকজন বেরিয়ে পড়ে। আমাদের মতো অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসে। এছাড়া সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের আকাশে যুদ্ধবিমান দেখা গেছে।’
টেকনাফের বাসিন্দা মোহাম্মদ জসিম বলেন, ‘গোলার এতোটা বিকট শব্দ আগে পাওয়া যায়নি। যার ফলে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তে আগুনের কুণ্ডলি, যুদ্ধ বিমানও দেখা গেছে। আমরা খুব ভয়ের মধ্য আছি।’
সীমান্ত এলাকার খোঁজখবর রাখেন এমন এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক দিন পর সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানে খুব বেশি গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাখাইনের পেরাংপুল ও আশিক্ক্যা পাড়ায় জান্তা সরকারের যুদ্ধবিমান গোলা ছুড়ছে।
‘মূলত আরাকান আর্মির দখলে থাকা চৌকি উদ্ধারে সরকার এই হামলা চালাচ্ছে। ফলে নতুন করে সীমান্তে অনুপ্রবেশের শঙ্কা বাড়ছে।’
টেকনাফে ইউএনও’র দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান গোলার বিকট শব্দে আমার বাসভবনও কেঁপে উঠেছে। এ ধরনের হামলায় সীমান্তের লোকজন যাতে আতঙ্কিত না হয় সেজন্য খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’
বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে।’