বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় জোর বক্তাদের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:৪৩

এবারের পর্বের শিরোনাম ছিল ‘শাসন, স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগ: সক্রিয় নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তা’।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) আইন বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের (বিআইআরই) যৌথ আয়োজনে ‘জনস্তরে সংবিধান চিন্তা’র দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ আয়োজন শুরু হয়।

এবারের পর্বের শিরোনাম ছিল ‘শাসন, স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগ: সক্রিয় নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তা’।

এতে বক্তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

বিআইআরইর উদ্যোগে চলমান এ সিরিজের মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চিন্তাধারার সঙ্গে বিজ্ঞজনের আইন ও পলিসির ভাষার যোগাযোগ ঘটানো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মো. জহির উদদীন সোহাগ বলেন, ‘সংবিধান চিন্তা জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং তা সহজবোধ্য ভাষায় উপস্থাপন করা জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘জনমতের ভিত্তিতে কেতাবি ভাষা ও জনগণের ভাষার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরির লক্ষ্যেই বিআইআরই কাজ করছে।’

এনএসইউর প্রভাষক নাফিজ আহমেদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো কাজ না করার জন্য বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

তিনি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের বিকাশে আদালতের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ প্রভাষক লোকমান হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ কেন এত প্রয়োজন? প্রতিষ্ঠানগুলো কেন সঠিকভাবে কাজ করছে না?’

তিনি ক্রসফায়ারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক ও এনএসইউর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রিজওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিচার ব্যবস্থা জটিল ও প্রভাবাধীন, তবে আমি আশা করি, বিচারকদের জনমনস্কতা বিচারব্যবস্থাকে সহজ ও ন্যায়বিচারের অনুকূল করে তুলবে।’

সমাপনী বক্তব্যে এনএসইউর আইন বিভাগের প্রধান ইস্তিয়াক আহমেদ বলেন, ‘গণতন্ত্রের উন্নয়নে নাগরিকদের দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

অংশগ্রহণকারীদের অনেকে তাদের মতামতে সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দেন। কেউ কেউ সংস্কারের ওপর জোর দেন।

আগের পর্বের মতো অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য শেষে বক্তারা সংবিধান সংস্কার ও বিচার বিভাগ শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এ বিভাগের আরো খবর