জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে ‘হত্যাচেষ্টা’র প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে বুধবার ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাকচাপা দেয়ার ঘটনায় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয় বলে খবর পাওয়া যায়।
হামলার প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন চারটি মূল দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো উগ্রবাদী হিন্দুত্বের প্রভাব থেকে বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মুক্তি দেয়া, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা, গত ১৫ বছরে হিন্দু মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা।
আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে তারা এ ধরনের ফাঁদে পা দেবে না।
‘আমাদের দেশকে রক্ষা করতে আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবাই জীবন দিতে প্রস্তুত।’
সমাবেশে সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করে, হাসনাত ও সারজিসকে লক্ষ্যবস্তু করে তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে পারবে, কিন্তু সচিবালয় থেকে শ্রমিক, এ দেশের প্রতিটি নাগরিকই যোদ্ধা। দিল্লির আধিপত্য বা কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদকে কেউ মেনে নেবে না। এই ভূমির জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত সবাই।’