বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ধ্বংস করতে কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও উস্কানিদাতা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সচেতন বা দেশপ্রেমিক ব্যক্তি কোনোভাবেই এ ধরনের অপচেষ্টা মেনে নিতে পারে না।
রাজধানীর গুলশানে এক হোটেলে মঙ্গলবার একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে একটি ভয়াবহ কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ চালানো শুরু হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমরা সবসময় সংগ্রাম করেছি এবং করছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা প্রত্যক্ষ করছি যে কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও উস্কানিদাতা সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত ও বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
অপচেষ্টাকারীদের ‘আত্মঘাতী পথ’ থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে দেশের গণমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করেছে।
রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের বিষয়ে মির্জা ফখরুল সবাইকে ধৈর্য্য ধরে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এই সরকার ব্যর্থ হলে, বিপ্লব এবং গণঅভ্যুত্থানও ব্যর্থ হবে। আমরা আবার অন্ধকারে পড়ে যাব। সুতরাং আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে ইতিবাচকভাবে ভাবতে হবে।’
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন রচিত ‘তারেক রহমান: পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসিস কনটেমপোরারি বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।