চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা সংলগ্ন লালদিঘি এলাকায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরতদের সঙ্গে সংঘর্ষকালে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মেডিক্যাল সূত্র জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ছয়জনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে।
চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক জানান, সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রাম জজকোর্ট ও হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন।
আহত অন্যরা হলেন- শ্রীবাস দাশ, শারকু দাশ, ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল ও এনামুল হক। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত সনাতনিরা আদালত চত্বরে প্রায় তিন ঘণ্টা পুলিশের প্রিজন ভ্যান আটকে রাখে। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও আহত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। তবে তাদের সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।