সংবিধান সংস্কার নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আগামী সপ্তাহে সারা দেশে জরিপ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব জমা দেয়া হয়।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংবিধান কেবল নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নয়। তবে সংবিধানে নির্বাচনের বিষয়ে যেসব মতামত এসেছে সেগুলোর ভিত্তিতে সুপারিশ তৈরি করব। সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচন কবে হবে, কী প্রক্রিয়ায় হবে- এসব বিষয় সরকার বলতে পারবে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই শিক্ষক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রস্তাবগুলো পড়িনি। যতক্ষণ না পড়ছি, ততক্ষণ মন্তব্য করা সম্ভব না। অন্যান্য দলের পক্ষ থেকেও প্রস্তাব পেয়েছি। সেগুলোও পড়ব। স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে যেসব প্রস্তাব পাচ্ছি, সেগুলো থেকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সুপারিশ তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের ওয়েবসাইটে ৫০ হাজারে বেশি মতামত এসেছে। আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। আরও কয়েকটি সংগঠন ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে আমরা কথা বলব।
‘এছাড়া সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে আগামী সপ্তাহ থেকে সারা দেশে জরিপ শুরু হবে। উদ্দেশ্য, সব ধরনের মানুষের মতামত আমরা যেন পাই।’
আলী রিয়াজ বলেন, ‘কাজের অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা আশাবাদী। রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশগুলো দিতে পারব।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনপ্রধান বলেন, ‘৬ অক্টোবর কমিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আশা করছি, আমরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাব, যদিও বলা হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা আমাদের প্রস্তাব দেব। নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন সংস্কার সংক্রান্ত কমিশন বলবে। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’