কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে বৃহস্পতিবার।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই হাজারের বেশি পর্যটক যাতায়ত ও রাত্রিযাপনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পর্যটকবাহী জাহাজ কোন স্থান থেকে ছাড়া হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ কোন স্থান থেকে ছাড়বে, তা নির্ধারণ করবে মন্ত্রণালয় গঠিত ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ’সংক্রান্ত কমিটি।
গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত ছয় সদস্যের কমিটি করে। এতে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফের ইউএনওকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার জেলা প্রশাসন ‘কেয়ারি সিন্দাবাদ’ নামের একটি জাহাজ কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বীপে দুই হাজারের বেশি পর্যটক যাতায়ত করতে পারবে না। এ ছাড়া নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে রাত্রিযাপনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে, তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পর্যটকরা দ্বীপে রাত্রিযাপন করতে পারবেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদরের ইউএনও নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণে কমিটির প্রথম বৈঠক মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
‘বৈঠকে কমিটির সদস্যদের সাথে পরিবেশসহ সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনার ভিত্তিতে জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তিনি জানান, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে নাফ নদ দিয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যে আলাপ হয়েছে, তাতে সবাই জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট হিসেবে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর জেটি ঘাট অথবা ইনানীর নৌবাহিনীর জেটি ঘাটের যেকোনো একটি বিবেচনা করে মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেছেন।