বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৈশ্বিক মানদণ্ডে শ্রম সংস্কারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ২১:২৩

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ব্র্যান্ডগুলোকে প্রতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের অর্ডারের মূল্য বৃদ্ধি ঘোষণা করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশের নির্মাতারা সে অনুযায়ী শ্রমিকের মজুরি বাড়াতে পারেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রম আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সমমানসম্পন্ন করতে চাই। এটা আমার অঙ্গীকার। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে আরও বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করতে শ্রম আইন সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি শ্রম ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদল সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কেবল দেশের শ্রম আইন সংস্কার, এ ব্যাপারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ নিরসনের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে।’

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া মেইলি ও দেশটির আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি ফে রড্রিগেজ।

দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও জুতা ক্রয়কারী শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো শ্রম আইন সংস্কার ও বাংলাদেশের কারখানায় শ্রমিক-বান্ধব পরিস্থিতি তৈরিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদক্ষেপকে সমর্থন করে।

সরকার ও স্থানীয় ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৮ দফা চুক্তিসহ পদক্ষেপগুলোর উল্লেখ করে কেলি ফে রড্রিগেজ বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত সাড়ে তিন মাসে শ্রম খাতের জন্য যা করেছেন সেগুলো সবই তার বিস্ময়কর সাক্ষ্য।’

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে লাখো গার্মেন্টস ও পাদুকা শ্রমিককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য কারখানায় ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠা ও প্রতি বছর মজুরি পর্যালোচনার আহ্বান জানান।

পোশাক কারখানায় ন্যূনতম মজুরির সুবিধাদান প্রসঙ্গে থিয়া মে লি বলেন, ‘এটি ব্যবসার জন্য ভালো, অর্থনীতির জন্যও ভালো। কর্মী ইউনিয়ন হল গণতন্ত্রের প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র।’

যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি শীর্ষ ব্র্যান্ড পিভিএইচ, ক্যালভিন ক্লেইন এবং গ্যাপ ইনকর্পোরেটেডের সিনিয়র কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পিভিএইচ কর্পোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ব্রাইড বলেন, তারা বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারকে সমর্থন করেছেন। কম্বোডিয়ায়ও অনুরূপ প্রচেষ্টাকে তারা সমর্থন করেছেন।

প্রফেসর ইউনূস ব্র্যান্ডগুলোকে প্রতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের অর্ডারের মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণা করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশের নির্মাতারা সে অনুযায়ী শ্রমিকের মজুরি বাড়াতে পারেন।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডেবও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রফেসর ইউনূসের ব্যাপক শ্রম সংস্কারকে পূর্ণ সমর্থন করে। আমরা এর অংশীদার হতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর