বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসি মো. সানাউল্লাহ, সেনাবাহিনীতে যার পথচলার পুরোটাই মেধাময়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:৫৬

এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনে নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বেশি সময়ের কর্মজীবনে বরাবরই মেধার স্বাক্ষর রেখে এসেছেন তিনি।

আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে রোববার তাদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) নামও ঘোষণা করা হয়।

নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বেশি সময়ের কর্মজীবনে বরাবরই মেধার স্বাক্ষর রেখে এসেছেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলে ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। সেখানেই স্কুল ও কলেজ জীবন শেষে ১৮তম বিএমএ লংকোর্সে তিনি ক্যাডেট হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৮ সালের জুনে কমিশন লাভ করেন এবং সব বিষয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাডেট হিসেবে সোর্ড অব অনার লাভ করেন। চাকরি জীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি।

পেশাগত জীবনে ও প্রশিক্ষণে অসামান্য মেধার পরিচয় দেন এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি আর্মি স্টাফ কোর্সে প্রথম হওয়ার পাশাপাশি মাস্টার্স ইন ডিফেন্স স্টাডিজ-এ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। সে সুবাদে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করার যোগ্যতা লাভ করেন। সেখানে দক্ষতার সঙ্গে ইউএস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করার পাশাপাশি মাস্টার্স ইন মিলিটারি আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

মো. সানাউল্লাহ ভারতের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে ডিসটিংসনসহ প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সেও সর্বোচ্চ মান প্রদর্শন করেন তিনি।

তিনের অধিক সামরিক প্রশিক্ষণে প্রথম স্থান অধিকার করায় আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসইউপি বা সেনা উৎকর্ষ পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি দুবার তার কমান্ড দক্ষতার জন্য সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসা লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস-এ পিএইচডি রিসার্চ ফেলো।

দীর্ঘ ৩৪ বছর ৭ মাসের কর্মজীবনে মো. সানাউল্লাহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে কমান্ড পর্যায়ে পদাতিক ব্যাটালিয়ান ও ব্রিগেড কমান্ড এবং কমান্ড্যান্ট আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট অন্যতম।

স্টাফ অফিসার হিসেবে তিনি জিএসও-৩ (অপারেশন), ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড, জিএসও-২ সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর এবং কর্নেল জেনারেল স্টাফ ডিজিএফআই-এ দায়িত্ব পালন করেন।

প্রশিক্ষক হিসেবে এই সেনা কর্মকর্তা ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস্-এর রণকৌশল শাখায় কর্মরত ছিলেন। আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডক্ট্রিন কমান্ডের ট্রেনিং ডিভিশনের প্রধান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

চৌকষ এই সেনা অফিসার বিদেশে যেসব ট্রেনিং কোর্সে অংশগ্রহণ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে মিড ক্যারিয়ার কোর্স (পাকিস্তান), ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ অফিসার কোর্স (যুক্তরাষ্ট্র), হাইয়ার ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট কোর্স (ভারত) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরস কোর্স (ইউকে)।

তিনি জাতিসংঘ মিশনে ১৯৯৪-৯৫ সময়ে সোমালিয়ায় এবং ২০০৩-০৪ সময়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো-তে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজল ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর; ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিরপুর; ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র এবং কলেজ অফ ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট, ভারত-এর অ্যালামনাই।

সবশেষ তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ইরানের তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামরিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। এই এসাইনমেন্ট শেষে তিনি ২০২৩ সালে এলপিআর-এ যান এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুরোপুরি অবসর গ্রহণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর