ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শহিদ শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার শহিদ নাফিজের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর মহাখালীতে ওয়্যারলেস গেটে শহীদ নাফিজের বাসায় যান ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল। এ সময় রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিশু-কিশোর-তরুণ কাউকে রেহাই দেয়নি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার। শহিদ নাফিজরা বাংলাদেশকে মুক্ত বাতাস উপহার দিয়ে গেছেন।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একজন ব্যক্তি জোর করে ক্ষমতায় থাকতে নিরপরাধ কাউকে ছাড় দেয়নি। আগামী দিনের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের গলা টিপে ধরে এক পরিবারের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।’
তিনি বলেন, ‘শহিদ নাফিজরা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছেন। পাঠ্যবই থেকে শুরু করে সবখানে শেখ মুজিবুর রহমানের কথা তুলে ধরে সবার অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। যেনতেনভাবে টিকে থাকতে সবরকম কাজ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
‘বেনজির-হারুনদের মতো লোক তৈরি করে গুলি করে হত্যা করেছে। নাফিজদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেয়া হবে না। মানুষের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় শহিদ নাফিজ, মুগ্ধ, আবু সাঈদদের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। তারেক রহমান সবার পাশে আছেন এবং থাকবেন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দলের কাছে শহীদ নাফিজের মা সন্তান হত্যাকারীদের বিচার এবং শহিদ গোলাম নাফিজ যেখানে নিহত হন সেখানে ‘শহিদ নাফিজ চত্বর’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, ফরহাদ আলী সজীব, শাকিল আহমেদ, রুবেল আমিন, শাহাদত হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. জাহিদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আওয়াল, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীবসহ বনানী থানা বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।