সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রত্যক্ষ নির্বাচন, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না থাকা, অর্থের উৎসের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাসহ বেশকিছু পরামর্শ পেয়েছে সংস্কার কমিশন। শনিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে সাংবাদিকসহ সুধীজনরা এসব পরামর্শ দিয়েছেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সরাসরি হওয়ার কথা আলোচনা হয়েছে। সব নির্বাচন প্রত্যক্ষ হওয়ার কথা বলেছেন কেউ কেউ। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় হওয়া নিয়েও কথা হয়েছে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের কথা এসেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা এসেছে। সংস্কার কমিশনও এ নিয়ে ভাবছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের ভোটের ব্যাপারে।
‘কত শতাংশ ভোট পেলে একজন প্রার্থী নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন সে বিষয়েও কথা বলেছেন কেউ কেউ। অনেকে না-ভোট ফিরিয়ে আনার জন্য বলেছেন। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেন কেউ নির্বাচিত না হন সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শও দিয়েছেন সুধীজনরা।
তবে এর আগে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে বলে মত ব্যক্ত করেছেন কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ।
তোফায়েল আহমেদ জানান, কমিশন যে সংস্কার করতে চাচ্ছে, তাতে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরের নির্বাচন ব্যয় অনেক কমে আসবে। সময়ও বাঁচবে। জনবলও লাগবে অপেক্ষাকৃত অনেক কম।
এর আগে সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রথম পর্বে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কমিশন।