নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘আলুর দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে থাকলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমতেই থাকবে।’
বিএনপির এই নেতা শুক্রবার এক সমাবেশে এ কথা বলেন।
রিজভী প্রশ্ন তোলেন- ডিম ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? কেন বাড়ছে ডিমের দাম? সয়াবিন তেলের দাম বেশি কেন?
আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরও নিম্ন আয়ের মানুষ যেমন কৃষক, রিকশাচালক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
‘জনগণ কিছুটা স্বস্তির প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু তারা যদি তা না পায় তবে গণতান্ত্রিক চেতনা, ত্যাগ, রক্তপাত এবং বহু প্রাণহানি সবই বৃথা যাবে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যখন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তখন কিছু উপদেষ্টা বেপরোয়া বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা খেয়ালখুশি মতো কাজ করছেন। এমনটা চলতে দেয়া যায় না।
‘বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টাদের অবশ্যই বিপ্লবী হতে হবে, গতিশীল মানসিকতা থাকতে হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরা কখনও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারেন না।’
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে সহকর্মী চালকদের হত্যার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করেন সাধারণ রিকশাচালকরা।
রিজভী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহত ও পঙ্গুদের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটোর) পরিদর্শনের উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি দেখেছি এখনও অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কাতরাচ্ছেন। হাত-পা ও দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। রাষ্ট্র কি এর দায় নেবে না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’