রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়ায় ছিনতাইকারীর ছোড়া এসিডে দগ্ধ সাথী রানী হালদার ও তার শিশু কন্যা বিজয়িনী রানী হালদার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
তুরাগের কামারপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাসার সামনেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন মা ও মেয়ে। ছিনতাইকারী এসিড ছুড়ে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। দগ্ধ মা ও মেয়েকে পরে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ সাথীর দেবর অশ্বিনী হালদার বলেন, ‘আমাদের বাড়ি পাবনার ফরিদপুর থানার ডেমরা গ্রামে। আমার ভাই ও বিজয়িনীর বাবা জয় কুমার হালদার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।’
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাসার অদূরে এক সেলুনে মেয়ের চুল কাটানো শেষে বাসায় ফেরার পথে বাসার গেটের সামনে এলে এক যুবক এগিয়ে আসে। ‘রফিক নামে কেউ আছে নাকি’ বলেই সে তার হাতে থাকা এসিড ছুড়ে মারে। পরে সাথী রানীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়। দগ্ধ মা-মেয়েকে প্রথমে উত্তরা মনসুর আলী মেডি্যোল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
অশ্বিনী হালদার বলেন, ‘আমাদের ধারণা ওই যুবক মূলত গলার চেইন ছিনতাই করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাসার বাইরে থাকা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ওই যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, এসিডদগ্ধ মা ও মেয়েকে বৃহস্পতিবার বিকেলে এখানে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মেয়ে বিজয়িনীর শরীরের ২০ শতাংশ ও মা সাথী রানীর ১৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দুজনের অবস্থা গুরুতর।