বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শহীদ আবদুল্লাহর বাড়িতে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক আবু জাফর

  • প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)   
  • ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:৪৯

আবু জাফর জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার পরিবার ন্যায়বিচার পাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূস, স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সব উপদেষ্টা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছেন, যাতে বিন্দুমাত্র হলেও তাদের রক্তের ঋণ শোধ করা যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহর বাড়ি যশোরের শার্শায় বুধবার রাতে গিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবু জাফর।

স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি কবর জিয়ারত করেন। ওই সময় তিনি আবদুল্লাহর রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

আবু জাফর জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার পরিবার ন্যায়বিচার পাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূস, স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সব উপদেষ্টা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছেন, যাতে বিন্দুমাত্র হলেও তাদের রক্তের ঋণ শোধ করা যায়।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের এডিসি এসএম শাহিন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন, জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহফুজা খাতুন, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

নিহত আবদুল্লাহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন।

প্রথমে তাকে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অস্ত্রপচার করে তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলেও তাকে হাসপাতাল থেকে ১০ আগস্ট ছাড়পত্র দেয়া হয়।

পরে আবদুল্লাহকে বেনাপোলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা দ্রুত আবারও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাকে।

গত ১২ আগস্ট সকাল ৭টায় তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে সংক্রমণ দেখতে পান, যা তরল প্লাজমার মতো গলে গলে পড়তে থাকে। আবারও তার অপারেশন করা হয়।

অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর