বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনে কেউ যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে তার বিধান চায় ইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:৩৬

ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপ কীভাবে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনকে কেউ কেন হস্তক্ষেপ করে- এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি; যেন সংস্কার কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেসব সুপারিশ করা হয়েছে।’

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কেউ যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে তেমন বিধি-বিধান চান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক কমিশনের সঙ্গে সভায় তারা এ লক্ষ্যে সুপারিশ করেছেন। এছাড়াও ভোটের সময়ের অপকর্মের জন্য ভোটের পরও সংশ্লিষ্টদের যেন আইনের আওতায় আনা যায় সেই ক্ষমতা ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘হাইপ্রোফাইল সংস্কার কমিশন এখানে কাজ করছে। এটি আমাদের অঙ্গীকার। সংবিধানেরও অঙ্গীকার হলো গণপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা৷ এটি নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানই দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

‘মনে রাখতে হবে এটি সংস্কার করা...। এখানে অনেকগুলো ভালো বিষয় রয়েছে। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্বলতা আছে আমরা সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। মাঠের অভিজ্ঞতা থেকে গণমাধ্যমের অভিজ্ঞতা- সবগুলো বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি।’

ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ কীভাবে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনকে কেউ কেন হস্তক্ষেপ করে- এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি; যেন সংস্কার কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়।

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেসব সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শফিউল আজিম বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কমিশন তো একা নির্বাচন করে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সব অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে। নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান ও আইনে যে ক্ষমতা দেয়া আছে তা যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়। আইনের প্রযোগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কর্মকর্তারা বাধাগ্রস্ত না হন এটি নিশ্চিত করতে হবে।’

সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবের নেতৃত্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। ওনারা আগে নির্বাচন করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। ওনারা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কী বিষয়ে আমাদের মনযোগ এবং অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার, সে মতামত নিয়েছি।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বলেন, একটি বিষয় সুস্পষ্টভাবে এসেছে। সেটি হলো আমাদের আইনকানুন বিধিবিধানের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো দূর করা দরকার। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আইনের প্রয়োগ করা।

‘নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান ও আদালতের মাধ্যমে অগাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের একটা রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা রয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে তারা যেন বিধিবিধানের সঙ্গে সংযোজনও করতে পারেন এই বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।’

এ সময় ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংস্কার কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর