বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি), এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ ৮ কর্মকর্তাকে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
আটজনের মধ্যে আছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির মিরপুরের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, ডিএমপির গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং ডিবি ঢাকা উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তাদের বহনকারী দুটি পুলিশ ভ্যান ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করে। এরপর একে একে সবাইকে নেয়া হয় অস্থায়ী ট্রাইব্যুনাল ভবনে।
এর কিছুক্ষণ পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন তিনজন বিচারপতি।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কর্মকর্তাদের এজলাসে তোলা হলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুরু করেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
ওই সময় আটজন অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাদের হাজির করতে আদেশ দিয়েছিলেন।
পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বুধবার তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
আজ হাজির করানো আট কর্মকর্তার মধ্যে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিন মোল্লা ও ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলামকে আগেই ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অবশিষ্ট ৬ কর্মকর্তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল সূত্র।