বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে বছরে ১২ থেকে ১৮টি এলএনজি কার্গো রপ্তানির প্রস্তাব ব্রুনাইয়ের

  • ইউএনবি   
  • ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৩১

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, জ্বালানি সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি থেকে এলএনজি আমদানির ধারণা নতুন নয়। ২০১৮ সালেও বাংলাদেশ দেশটি থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছিল। এর ফলে ২০১৮ সালের আগস্টে দুই ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

বাংলাদেশের সঙ্গে ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বছরে ১২ থেকে ১৮টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কার্গো রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে ব্রুনাই সালতানাত।

ব্রুনাই এনার্জি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডিং (বেস্ট) এসডিএন বিএইচডি বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) কাছে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

এ সংক্রান্ত নথিটি দেখেছে ইউএনবি।

প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিটি কার্গোর আকার প্রায় ৩১ লাখ এবং ৩২ লাখ এমএমবিটিইউর (মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট, এলএনজি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত একটি ইউনিট) মধ্যে হবে। এর দাম এমএমবিটিইউ প্রতি জেকেএম + শূন্য দশমিক ৮৭ আমেরিকান ডলার হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাপান কোরিয়া মার্কার (জেকেএম) হলো একটি সূচক যা জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন এবং তাইওয়ানে বিতরণ করা এলএনজির মূল্য পরিমাপ করে এবং এশিয়ান স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে গৃহীত হয়। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের তথ্য অনুযায়ী, ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জেকেএম ১৪ দশমিক ৬৫ আমেরিকান ডলার।

অতীতে বাংলাদেশ সাধারণত ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ পরিমাপের এলএনজি কার্গো আমদানি করেছে।

ব্রুনাইয়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা বেস্ট প্রাথমিকভাবে আঞ্চলিক জ্বালানি বাজারে অপরিশোধিত তেল, এলএনজি এবং মিথানল বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আরপিসিএল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার একটি সহায়ক সংস্থা, যা বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানিতে নিযুক্ত রয়েছে।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, জ্বালানি সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি থেকে এলএনজি আমদানির ধারণা নতুন নয়। ২০১৮ সালেও বাংলাদেশ দেশটি থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছিল। এর ফলে ২০১৮ সালের আগস্টে দুই ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

সেই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত জ্বালানি বাণিজ্যে বাস্তবায়িত হয়নি, যার ফলে শেষ পর্যন্ত ঢাকা ও বন্দর সেরি বেগাওয়ানের মধ্যে চুক্তিটি আরও ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।

সরকারি সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়া তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন।

বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি সরবরাহের মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক স্বার্থ সর্বোত্তমভাবে উদ্ধার হওয়ায় তৎকালীন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করছিলেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

ফলে হামিদের এমন বিরোধিতায় ব্রুনাই হতাশ হয়ে পড়ে বলে সূত্রটি জানায়।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রুনাই পুনরায় তার যোগাযোগ শুরু করে এবং এবার একটি অগ্রগতি দেখা গেল।

এ বিভাগের আরো খবর