ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় হঠাৎ করে কোনো নেতিবাচক বিষয়ের উত্থান দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো সমস্যা নেই।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এমন কিছু নয়- কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, যা তার ওপর নির্ভর করে।’
তিনি বলেন, ‘রিপাবলিকান পার্টি বা ডেমোক্রেটিক পার্টি এমনকি ট্রাম্পের বিষয়েও আমার কোনো সমস্যা নেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অতীতে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না এবং উভয় দলেই আমার বন্ধু রয়েছে।’
অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পা রাখবেন। তার আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শীর্ষ পদে বহাল থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ‘হিন্দু, খ্রীষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে বর্বরোচিত সহিংসতার’ নিন্দা জানান, যারা বাংলাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতার দ্বারা ‘আক্রান্ত ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে’।
এক টুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমার নজরদারিতে এটা কখনোই ঘটত না। কমলা ও জো বিশ্বজুড়ে এবং আমেরিকায় হিন্দুদের উপেক্ষা করেছেন। ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত একটি বিপর্যয় হয়েছে। তবে আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব!’
এ বিষয়ে আল জাজিরার সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটা মূলত অপপ্রচার- সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অপপ্রচার। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ অপপ্রচারের উৎপত্তি ভারত থেকে। যে কারণেই হোক না কেন- সম্ভবত অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রাখার জন্য। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সহিংসতা শুরু হয়েছিল বিপ্লবের সময় হিন্দু বা অন্য ধর্মের কারণে নয়, বরং বেশিরভাগই তারা আওয়ামী লীগার ছিল বলে। হিন্দুদের অধিকাংশই ছিল আওয়ামী লীগার।’