বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আমাকে ব্যবহার করে মামলায় ব্যবসা বন্ধ করুন’

  • প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:১৭

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সুনামগঞ্জে গুলিবিদ্ধ জহুর আলী ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন, ‘আমাকে গুলি করেছে পুলিশ। তাই আমি চেয়েছি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হোক। পুলিশকে আসামি করা হয়েছে ঠিকই, সাথে ৯৯ জনকে আসামি করে একটা ব্যবসা শুরু করা হয়েছে। আমাদেরকে সবার শত্রু বানানো হচ্ছে।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পতন ঘটে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের। তার আগের দিন ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন মো. জহুর আলী। ফেসবুক লাইভে এসে সুনামগঞ্জে ৪ আগস্ট সংঘর্ষের এ ঘটনায় মামলা করেন তার বড় ভাই।

তবে ওই মামলাকে ‘পুঁজি’ করে কিছু মানুষ ‘ব্যবসা’ ফেঁদেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জহুর আলী। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেছেন- আমাকে ব্যবহার করে ওই মামলা ঘিরে ব্যবসা বন্ধ করুন।’

বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সাড়ে আট মিনিটের লাইভে এসে গুলিবিদ্ধ এই যুবক বলেন, ‘আমি মো. জহুর আলী। আপনারা জানেন ৪ আগস্ট আমি গুলি খেয়েছিলাম। গুলি খেয়ে তিন মাসের উপর হয় আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি কিছু বিষয় সারজিস আলম ভাইসহ সবাইকে জানানোর জন্য লাইভে এসেছি।

‘আপনারা জানেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রায় এক মাস পর সুনামগঞ্জে ৯৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলার বাদী আমার ভাই হাফিজ আহমেদ। মাসুম হেলাল নামের এক সাংবাদিক পুলিশের ওসি খালেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজনের নামে মামলা দেয়ার কথা বলে সারা সুনামগঞ্জের ৯৯ জনের নামে মামলা দিয়ে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে গুলি করেছে পুলিশ। তাই আমি চেয়েছি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হোক। পুলিশকে আসামি করা হয়েছে ঠিকই, সাথে ৯৯ জনকে আসামি করে একটা ব্যবসা শুরু করা হয়েছে।

‘এখন যাকে মন চায় তাকে জেলে ঢুকানো হচ্ছে। নাম হচ্ছে আমাদের- আমরা মামলা দিয়েছি, আমরা টাকা খাচ্ছি। কিন্তু আমরা শুধু মামলা করার সময় মাসুম হেলাল ৩০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য দিয়েছিল। তাও কেউ একজন দিয়েছে জানিয়ে আমাকে চিকিৎসা করার জন্য এই টাকা সে তুলে দেয়। শুধু সেই টাকা পেয়েছি। এছাড়া আর কিছু পাইনি। এখন আমাদেরকে সবার শত্রু বানানো হচ্ছে।’

জহুর আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার ভাই আদালতে গেলে তাকে তুলে নিয়ে গুম করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। ভাগ্য ভালো যে বিভিন্ন জনের ‘কানে’ খবর পৌঁছানোয় তাকে ফিরে পেয়েছি। আমাদেরকে যে যেভাবে পারে ব্যবহার করতেছে।

‘আমরা এদিকেও মার খাচ্ছি, ওদিকেও মার খাচ্ছি। যেই ওসি আমাকে গুলি করেছে, যার নামে মামলা হয়েছে তাকে এখনও ধরা হচ্ছে না। সে চাকরি করতেছে। যে আমাদেরকে দিয়ে মামলা করিয়ে কোটি টাকা কামিয়েছে, সেও কানাডায় চলে যাচ্ছে। আর সব শত্রু আমাদেরকে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন ঘর থেকে বের হতে পারি না। আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

জহুর বলেন, ‘এলাকার সবাই জানে আমার ভাই সহজ-সরল। আমার সহজ-সরল ভাইকে দিয়ে মামলা করিয়ে মাসুম হেলাল লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে, তার রেকর্ডও আছে আমার কাছে। সে একা নয়, তার গ্যাং আছে। সে তার গ্যাং সৃষ্টি করে টাকা লুটতেছে আর নাম হইতেছে আমাদের। এই ব্যবসা যেন বন্ধ হয় তার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিক মাসুম হেলাল বলেন, ‘আমি আইনজীবী নই, রাজনীতিবিদও নই যে আমি মামলা করাবো। আমি তাকে চিকিৎসার জন্য সহায়তা দিয়েছি, এতটুকুই জানি। এর বাইরে যা অভিযোগ তার কোনো প্রমাণ সে দিতে পারবে না। একটা প্রমাণ দিতে পারলে আমি সব অভিযোগ মেনে নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা তো আপস করতে চেয়েছে। আমি ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে। নিজের আদর্শিক জায়গা থেকে আমি সরে না দাঁড়ানোয় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর