বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাইবান্ধায় শেখ হাসিনাসহ ৭০ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা

  • প্রতিনিধি, গাইবান্ধা   
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:৩৬

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজওয়ানুল হক মন্ডল জানান, ওয়াহেদুর রহমান একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। সেটি আমলে নিয়ে চিফ জুলিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল মতিন পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

গাইবান্ধায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) কামাল হোসেনসহ ৭০ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।

মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

এর আগে সোমবার আদালতে মামলাটি করেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কিশাতম হলদিয়া গ্রামের ওয়াহেদুর রহমান, যিনি পেশায় দর্জি।

মামলায় ১০ আসামির নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৬০ জনকে।

শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপার কামাল হোসেন ছাড়াও মামলায় নামীয় অন্য আট আসামি হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম, গাইবান্ধা সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মন্ডল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজিব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসিফ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মামুন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে সার্কিট হাউসের দিকে যাওয়া ছাত্র-জনতার একটি মিছিল পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পুলিশ আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর আচমকা হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে গুলি চালানো হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সেদিন বাদীর শরীরে ৯টি বুলেটবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। একই সঙ্গে নাম না জানা অসংখ্য ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা তাৎক্ষনিক বাদীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহতদের চিকিৎসা চলাকালীন নামীয় আসামিদের নেতৃত্বে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী লাঠি, লোহার ক্রিজ হাতে হাসপাতালে প্রবেশ করে চিকিৎসারত গুলিবিদ্ধ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।

ওই সময় বাদী তার শরীরের একটি গুলি বের না হতেই সন্ত্রাসীদের ভয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে অন্য জায়গায় থেকে সেই গুলি বের করে সুস্থ হন বাদী ওয়াহেদুর রহমান।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজওয়ানুল হক মন্ডল জানান, ওয়াহেদুর রহমান একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। সেটি আমলে নিয়ে চিফ জুলিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল মতিন পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর